মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় তন্তর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দুই প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকদের নির্বাচনী মিছিল মুখোমুখি হলে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার তন্তর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণখোলা পণ্ডিত বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে।
আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আকবর অভিযোগ করে বলেন, নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাকির হোসেন ও তাঁর সমর্থকেরা হামলা চালিয়েছেন। তবে জাকির হোসেনের দাবি, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তাঁর লোকজন হামলা করেছেন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন তন্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী আকবর, তাঁর কর্মী মো. স্বাধীন (৫০), সিফাত হোসেন (২৫), মো. মামুন (৫০), ফজল শেখ (৫৭), ইমন হোসেন (৩৫), মাহাবুব শেখ (৩৫), মো. দিপু (১৮), দেলোয়ার হোসেন (৪০), আল আমিন (৩০) ও তুষার (২৩)। তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর পক্ষের আহত ব্যক্তিরা হলেন নাদিম হোসেন (২৫), ফারুক শেখ (৪০) ও মো. সুমন (৩১)। আহত বাকি একজনের নাম জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আকবর তাঁর সমর্থকদের নিয়ে ব্রাহ্মণখোলা গ্রামে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছিলেন। একই সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাকির হোসেন ও তাঁর লোকজন নিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাতে মাঠে নামেন। দুই পক্ষের মিছিল সামনাসামনি হলে তাঁরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয় পক্ষের আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আকবর বলেন, ‘নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাকির হোসেনের নেতৃত্বে তাঁর ভাই ও ভাতিজারা রামদা, হকিস্টিক ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে আমি বাঁ চোখে, নাকে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পাই। আমার ১৫-১৬ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন।’
উল্টো অভিযোগ করে জাকির হোসেন বলেন, ‘আমি কোনো হামলা করিনি। নির্বাচনী মাঠে নৌকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আমার বদনাম করার জন্য তারা পরিকল্পিতভাবে নাটক করছে। বরং আমি নির্বাচনী প্রচার করছিলাম। আলী আকবর বখাটে লোকজন নিয়ে আমার ওপর হামলা করেছে। আমার লোকজন আহত হয়েছে।’
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দুই পক্ষ তাদের নির্বাচনী প্রচারে নামে। তাদের মিছিল মুখোমুখি হয়। সে সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয় এবং তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের প্রার্থীসহ অনেকেই আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনো কোনো পক্ষের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।