হামলা প্রতীকী ছবি

চকরিয়ায় নৌকার বিজয় মিছিলে হামলা–সংঘর্ষ, নিহত ১

অনলাইন ডেস্ক,
কক্সবাজারঃ

গতকাল তৃতীয় ধাপে চকরিয়ার ১০টি ইউপিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে বদরখালী ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরে হোসাইন জয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আ ন ম হেফাজ সিকদার। রাত ১০টার দিকে ফলাফল ঘোষণার পর নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা বিজয় মিছিল বের করলে সেখানে হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়।

নুরে হোসাইনের বড় ভাই নুরে তসলিম অভিযোগ করে জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হেফাজ সিকদারের সন্ত্রাসীদের হামলা ও মারধরেই গিয়াস উদ্দিন নিহত হন। হেফাজ সিকদারের ভাই আবুল কাশেম সিকদার এ হামলার নেতৃত্ব দেন।

নুরে তসলিমের ভাষ্য, গতকাল রাতে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকেরা বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মিছিল নিয়ে বদরখালী বাজারে জড়ো হন। এরপর সাড়ে ১০টার দিকে বিজয় মিছিল বের হলে আবুল কাশেম সিকদারের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এ সময় নৌকার সমর্থকেরা দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। তখন গিয়াস উদ্দিন বদরখালী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশের একটি জায়গায় লুকানোর চেষ্টা করেন। এ সময় কাশেম সিকদারের লোকজন মসজিদের পাশের মাঠে ফেলে গিয়াস উদ্দিনকে বেধড়ক মারধর করেন।

এরপর স্থানীয় লোকজন গিয়াস উদ্দিনকে উদ্ধার করে প্রথমে বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসক গিয়াস উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে হেফাজ সিকদার ও আবুল কাশেম সিকদারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও দুই ভাইয়ের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ওসি মো. ওসমান গনি জানান, নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নির্বাচনী সহিংসতা নাকি পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।