আজকের পত্রিকা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংস্কার

সীমিত হাইওয়ে পুলিশ, অব্যবস্থাপনায় যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই অংশে বুধবার ২০ কিলোমিটারজুড়ে যানজট ছিল। উপজেলার বড়তাকিয়া এলাকায় সংস্কার কাজ চলায় মস্তাননগর থেকে ওয়াহেদপুর পর্যন্ত দিনভর যানজটে ভোগান্তিতে কেটেছে দূরপাল্লার যাত্রীসহ পথচারীদের। একলেনেই দুই লেনের পারাপার রাখার চেষ্টা করলেও ব্যবস্থাপনার অভাবে গাড়িগুলো এলোমেলো হয়ে যাওয়ার দরুন যানজট প্রকট রূপ নিচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশ একার পক্ষে সীমিতসংখ্যক সদস্য নিয়ে এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। মহাসড়কের এ সংস্কার কাজে আনসার টিমসহ বাড়তি পুলিশ সদস্য দিয়ে শৃঙ্খলা রাখা গেলে যানজট অনেকটা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে মনে করেন অনেকেই।

সরেজমিন দেখা যায়, মীরসরাইয়ের মিঠাছরা ও ঠাকুরদিঘী এলাকা থেকে বড়তাকিয়া পেরিয়ে ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের নয়দুয়ারীয়া পর্যন্ত সকাল থেকে বিকাল অবধি যানজট। এ সময় একটি ইউটার্ন অংশে কাজ চললেও সড়ক সংস্কারের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারের লোকজন দুইটা আবার কখনো তিনটা ইউটার্ন বন্ধ করে রেখেছে। ফলে যানজট দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। এই যানজট কখনো ঢাকামুখী লাইনে আবার কখনো চট্টগ্রামমুখী লাইনে হচ্ছে। এ সময় বড়তাকিয়া এলাকায় ঢাকামুখী ট্রাকচালক রশিদ মিয়া বলেন, সকালে চট্টগ্রাম থেকে ট্রাক ছেড়েছি। এই পর্যন্ত সব পথ ভালোভাবে এসেছি। এখানে এসে আটকা পড়েছি প্রায় কয়েক ঘণ্টা। কবে এখান থেকে বের হতে পারব তা জানি না। চট্টগ্রামমুখী যাত্রীবাহী বাসের যাত্রী হাফেজা আক্তার (৫০) বলেন, সকালে কুমিল্লা থেকে রওয়ানা হয়েছি। মিঠাছরা এলাকায় যানজটে আটকা পড়েছি। বাকি পথ কখন যাব জানি না। মহিলা ও শিশুদের এ সময় বেশি কষ্ট পোহাতে দেখা গেছে।

জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম শরফুদ্দিন বলেন, সড়ক সংস্কারের কাজে প্রতিনিয়ত এখানে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। আমার ফোর্স নিয়ে এই যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি। ঠিকাদারের ভলান্টিয়ার কম রয়েছে। ইউটার্নগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য আমার পুলিশ ডিউটি করছে। এমনিতে আমাদের পুলিশ কম। তাও সেখানে পুলিশ দিতে হচ্ছে। তারা আধা কিলোমিটার কাজ করলে প্রায় ৫-৭ কিলোমিটার রাস্তা বন্ধ করে রাখে। ফলে যানজট দীর্ঘ হচ্ছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, চট্টগ্রাম অংশে ৬৬ কিলোমিটার সংস্কার কাজ করতে হবে। দৈনিক আধা কিলোমিটার কাজ করতে পারছি। এই কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে আগামী অর্থবছরে শেষ করতে পারব। সামনে বর্ষা মৌসুম আসছে। এখন যদি এই সংস্কার কাজগুলো করতে না পারি, তাহলে বর্ষায় তো এই সড়কে গর্ত সৃষ্টি হলে তখন ভোগান্তি আরও বেশি হবে। অতিরিক্ত পুলিশ ও আনসার সবাইকে সহযোগিতার জন্য চিঠি দেওয়া আছে।