অন্যান্য

সিইসি হুদার বিরুদ্ধে যা বললেন রিজওয়ানা

সিইসি হুদার বিরুদ্ধে যা বললেন রিজওয়ানা

‘এক কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগসহ কিছু কুরুচিপূর্ণ, অশালীন, অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন সিইসি। দেশের মর্যাদাপূর্ণ একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পদে বসে তাকে এমন মিথ্যাচার করতে দেখে আমরা হতবাক।’ 

শনিবার সুজনের এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সদস্য সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান একথা বলেন। 

সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের বিরুদ্ধে সিইসির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

এর আগে বৃহস্পতিবার ‘আরএফইডি টক উইথ সিইসি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে কেএম নূরুল হুদা সুজনের বিরুদ্ধে কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার সিইসির সঙ্গে বারবার দেখা করে কাজ না পেয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সমালোচনা করছেন। 

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বদিউল আলম মজুমদারের ব্যক্তিগত আর্থিক লেনদেনের কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে রিজওয়ানা বলেন, সিইসি হুদাকেই এসব অভিযোগের প্রমাণ দিতে হবে। একইসঙ্গে জবাব দিতে হবে, তার কাছে এ সম্পর্কে কোনোরূপ তথ্য থাকলে তিনি কেন তা প্রকাশ করলেন না? কেন অভিযোগটি তদন্ত করলেন না? দুর্নীতি দমন কমিশনেই বা কেন তা পাঠালেন না। 

সৈয়দ রিজওয়ানা বলেন, একটি বিতর্কিত নির্বাচনের অকাট্য কিছু প্রমাণ ও তথ্য প্রকাশ করায় সুজন ও বদিউল আলম মজুমদারের ওপর কেএম নূরুল হুদার ক্ষিপ্ত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। 

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের প্রসঙ্গ টেনে সিইসি নূরুল হুদা বলেন, পূর্ব পরিচিত হলেও সুজনের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মসহ নানা ধরনের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ওই সংগঠনকে কোনো কাজে সম্পৃক্ত করেনি বর্তমান ইসি।

তিনি বলেন, বদিউল আলম মজুমদার এই কমিশন নিয়ে অনেক কথা বলে ফেলেন। এটার একটা ইতিহাস আছে। এখানে যোগদানের পর থেকে আমার সঙ্গে দেখা করতে চান।… তাকে নিয়ে অনেক ঝামেলা, অনিয়ম। এক কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম, কাজ না করে টাকা দেওয়া, নির্বাচন কমিশনে সভায় অনিয়ম নিয়ে সিদ্ধান্ত আছে। বর্তমান ইসির সময়ে কাজ না পাওয়ায় ‘ক্ষুব্ধ হয়ে’ বদিউল এখন কমিশনের সমালোচনা করছেন বলে মন্তব্য করেন নূরুল হুদা।

তিনি বলেন, দুই বছর আমার পেছনে ঘুর ঘুর করেছেন। একা একা এসেছেন। খবর পেয়েছি প্রায় এক কোটি টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ও অন্যান্য অভিযোগ রয়েছে। 

সিইসি বলেন, এ লোকের সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করা যায় না, বিশ্বাস করা যায় না। উনার কোনো কাজ নেই। সংবাদ সম্মেলন করার বিশেষজ্ঞ উনি। আমাদের তো তার দরকার নেই।

বদিউল আলম মজুমদারের সমালোচনা করে সিইসি আরও বলেন, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি আপনি নন। আপনি সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি নন। কাগজ দিয়ে বই তৈরি করবেন এ জন্য নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এ কাজ করার কী দরকার। এসব ওয়েবসাইটে আছে। এ ঝালমুড়ি ঠোঙা বানানো ছাড়া কোনো কাজ নাই।