আজকের পত্রিকা

ভারসাম্য

সামষ্টিক অর্থনীতির ভারসাম্য রক্ষাই মূল লক্ষ্য

ড. আতিউর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সম্মাননীয় অধ্যাপক। বাজেটকে সহজভাবে উপস্থাপনের পথিকৃৎ ড. আতিউর রহমান সমকালীন চ্যালেঞ্জিং বাস্তবতায় আসন্ন বাজেটের নানা দিক তুলে ধরেছেন যুগান্তরের কাছে। তিনি মনে করেন, সামষ্টিক অর্থনীতির ভারসাম্য রক্ষাই হবে আসন্ন বাজেটের মূল লক্ষ্য। এছাড়া দরিদ্র ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আকার ও গভীরতা বাড়ানো, কৃষি ভর্তুকি তিনগুণ বৃদ্ধির সুপারিশ করেছেন তিনি। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মিজান চৌধুরী।

যুগান্তর : আগামী বাজেটের প্রধান চ্যালেঞ্জ কী?

ড. আতিউর রহমান : প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এজন্য সামাজিক সুরক্ষা খাতের কর্মসূচিগুলোর বরাদ্দ ও কাভারেজ দুটোই বাড়াতে হবে। খুব সংকটকালে এ বাজেট আসছে। আগামী সংসদীয় নির্বাচনের আগে এটিই শেষ পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট। এ মেয়াদকালে সরকার কী কী করতে চেয়েছিল অর্থাৎ কী নির্বাচনি অঙ্গীকার করেছিল, সেসবের বাস্তবায়ন কতদূর করা গেছে, বাদবাকি কাজ কতটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব-এসব কিছুই খুব মুনশিয়ানার সঙ্গে এ বাজেটে তুলে ধরাটা হবে চ্যালেঞ্জিং কাজ। এছাড়া কোভিডে অনেক মানুষের চাকরি চলে গেছে, অনেকের অনানুষ্ঠানিক কাজের সুযোগও হারিয়ে গেছে, অনেকের আয়-রোজগার কমে গেছে। এর ওপর ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে খাদ্যসহ জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। এসব কারণে মানুষ অপেক্ষায় থাকবেন তাদের জন্য বাজেট কী ধরনের সুযোগ সৃষ্টি করতে চাইছে তা দেখার জন্য।

এ বছর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে বৈদেশিক অর্থনীতির অস্থিতিশীলতা কমানোর প্রশ্নটি। বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্য রপ্তানি বাড়ানো এবং অপ্রয়োজনীয় আমদানি কমানোর জন্য মুদ্রা ও রাজস্ব নীতির সুসমন্বয় করাটাও হবে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ বছর ইআরডি এরই মধ্যে আট বিলিয়ন ডলারের বেশি বৈদেশিক সাহায্য ছাড় করিয়ে দেখিয়েছে যে তারা কতটা দক্ষ। এ দক্ষতা আরও বাড়ুক। একই সঙ্গে এফডিআই বাড়িয়ে দেশের ভেতরেই বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উৎসাহিত করতে পারে বাজেট।

স্বাস্থ্য খাতে বরাবরের মতো বাজেটের ৫ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়ার ধারা থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। দেশের মোট চিকিৎসা ব্যয়ের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি বহন করছেন নাগরিকরাই। স্বাস্থ্য বাজেটে বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ বাবদ বরাদ্দ তিনগুণ করা গেলে মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ে নাগরিকের অংশ ৬০ শতাংশের নিচে নিয়ে আসা সম্ভব। মূল্যস্ফীতির কারণে বিপাকে পড়া মানুষের জন্য সামাজিক সুরক্ষা তো বাড়াতে হবেই। পাশাপাশি নাগরিকদের ওপর স্বাস্থ্য ব্যয়ের চাপ কমানো গেলে, যথাযথ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সুলভে দেওয়া গেলে সংকট মোকাবিলার সক্ষমতা বাড়বে।

যুগান্তর : মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কী পদক্ষেপ থাকা দরকার?

ড. আতিউর : মূল্যস্ফীতি আসলে মুদ্রাসম্পর্কিত একটি বিষয়। মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার মুদ্রানীতির কৌশল ব্যবহার করে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এবারের মূল্যস্ফীতি মূলত আমদানি করা পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে হয়েছে। সারা বিশ্বেই মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি এবং সরবরাহ ঘাটতির কারণেই এর এ বাড়ন্ত অবস্থা। এরই মধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। রেপো বা বেসিক রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে দিয়ে মুদ্রা সরবরাহে লাগাম টানার সিগন্যাল তারা দিয়েছে। তবে সুদের হারকে বাজারের চাহিদা ও জোগানের চিরাচরিত নিয়মের বাইরে প্রশাসনিক নির্দেশে পরিচালনার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে। মুদ্রানীতির কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্যই এ নীতি পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। টাকা-ডলার বিনিময় হার নমনীয় করার যে দূরদর্শিতা কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেখিয়েছে, এ ক্ষেত্রেও যাতে প্রতিষ্ঠানটি তা করতে পারে-বাজেটে সে দিকনির্দেশনা দেওয়া গেলে আর্থিক বাজারে অনিশ্চয়তা অনেকটাই কেটে যাবে। তবে প্রয়োজন হলে কখনো কখনো বাজারকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণও করতে হয়। বিশ্ব বাস্তবতার কারণে শিগগিরই মূল্যস্ফীতির পাগলা ঘোড়াকে পুরোপুরি বাগে রাখা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। সেজন্য বাজেটে দরিদ্র ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের জন্য উপযুক্ত সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আকার ও গভীরতা বাড়াতে হবে। আসলে ৫০০-৬০০ টাকার বিধবা ও দুস্থ ভাতা দুর্মূল্যের এ বাজারে খুবই অপ্রতুল। এ ভাতার পরিমাণ আরেকটু বাড়ালে এ দুঃখীজনের খানিকটা হলেও স্বস্তি বাড়বে। এখন পর্যন্ত কৃষিই আমাদের রক্ষাকবচ হিসাবে দাঁড়িয়েছে। তাই কৃষি উৎপাদনকে বেগবান রাখতে কৃষির ভর্তুকি অন্তত তিনগুণ বাড়ানো দরকার। কৃষি ভাইব্রেন্ট থাকলে একদিকে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, অন্যদিকে কৃষির ওপর নির্ভরশীল মানুষের আয় বাড়লে তা অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেগবান করে সামষ্টিক অর্থনীতিকেও গতিশীল করবে।

যুগান্তর : নতুন বাজেটে কোনটিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত-জিডিপির প্রবৃদ্ধি না মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে?

ড. আতিউর : এবারের বাজেটে উভয়কেই গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে আমার ধারণা। প্রবৃদ্ধির যে ইতিবাচক ধারা তৈরি হয়েছে, সেটি ধরে রেখেই কোভিড-উত্তর এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূলত আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে হবে। বিশেষ করে যাদের নুন আনতে পানতা ফুরাচ্ছে তাদের জন্য আরও সুনির্দিষ্ট টার্গেট করে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির প্রসার ঘটাতে হবে। মোবাইল ব্যাংক, এজেন্ট ব্যাংক ব্যবহার করে স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রান্তিক মানুষের কাছে অর্থ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি কোভিডকালে সরকার কম দামে খাদ্য বিক্রির যেসব কর্মসূচি পরিচালনা করেছে, সেগুলো আরও সুবিনস্ত করে অব্যাহত রাখতে হবে। বড় উদ্যোক্তারা যেন তাদের কম আয়ের কর্মীদের জন্য বিশেষ সামাজিক দায়বদ্ধ কর্মসূচি চালু করে, সেজন্য বাজেটারি প্রণোদনার প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী করতে পারেন। সব ধরনের খাদ্যের দাম বাড়ন্ত। তাই খাদ্যসমর্থন কর্মসূচির দিকে বিশেষ নজর দিতে পারলে সাধারণ মানুষ বাজেটকে মানবিক উদ্যোগ হিসাবে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। প্রীতির বন্ধনে মানুষ সরকারি সেবা পেতে চান। এটি দানও নয়। ঋণও নয়। বাজেট যেন এ বার্তাটি দিতে পারে, সেই প্রত্যাশাই করছি। এতে সরকার ও জনগণের বন্ধন অটুট হবে

যুগান্তর : বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সতর্কতামূলক অবস্থানের প্রয়োজন আছে কি না?

ড. আতিউর : অবশ্যই প্রয়োজন আছে। তবে আমাদের বিদেশি ঋণের প্রায় পুরোটাই সহজ শর্তে নেওয়া ও দীর্ঘমেয়াদি। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি, জাইকার মতো আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে পাওয়া ঋণের গ্রেস পিরিয়ডও পাঁচ-ছয় বছরের মতো। প্রায় ৩০-৩২ বছর ধরে পরিশোধ করা সম্ভব। সুদের হারও আইডিএর ঋণের মতো।

এ বছর আমরা দেড় বিলিয়নের কাছাকাছি এসব ঋণের কিস্তি ও সুদ শোধ করব। এ পরিমাণ আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অংশ হিসাবে মোটেও বেশি নয়। তবে কিছু কিছু দ্বিপাক্ষিক ঋণ আমরা নিচ্ছি, সেসব ক্ষেত্রেও একই মানদণ্ড বজায় রাখার প্রয়োজন রয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা আমাদের জিডিপির মাত্র ১২ থেকে ১৩ শতাংশ বিদেশি ঋণ নিয়েছি। এসব ঋণের কিস্তি শোধ করতে আমাদের কখনো প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়নি। সে কারণে কোভিডকালেও মুদির মতো আন্তর্জাতিক রেটিং এজেন্সি আমাদের বৈদেশিক ঋণ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেনি। কদিন আগে বর্তমান মার্কিন রাষ্ট্রদূতও বাংলাদেশের ম্যাক্রো অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাপনার প্রশংসা করেছেন। তবু যে কোনো প্রকল্প নেওয়ার সময় আমাদের আয় বুঝে ব্যয় করার সংস্কৃতির কথা মনে রাখতে হবে। ভেবেচিন্তেই সব প্রকল্প নিতে হবে। এমনকি দেশের অর্থে প্রকল্প নেওয়ার সময়ও খেয়াল রাখতে হবে যেন আমরা অযথা বিদেশি মুদ্রার খরচ বেশি বেশি না করি। কেননা প্রতিটি টাকা খরচের মধ্যেও বিদেশি মুদ্রায় খরচের একটা অংশ থাকে। অতএব সাবধানের মার নেই।

যুগান্তর : নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বাড়ছে, এক্ষেত্রে বাজেটে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে?

ড. আতিউর : বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির জেরে আমাদের দেশের আমদানি করা পণ্যের দাম বেড়েছে। মনে হয় টাকার অবমূল্যায়নের কারণে এসব পণ্যের দাম আরও বাড়বে। তাই দ্রুতই বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে বাণিজ্য ভারসাম্য আনা গেলে চলতি হিসাবেও ভারসাম্য ফিরে আসবে। তখন ডলারের দাম আর বাড়বে না। এর প্রভাব বাজারে পড়বে। এছাড়া কৃষিতে বাড়তি বরাদ্দ দিয়ে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে প্রণোদনা বা ভর্তুকি অব্যাহত রাখতে হবে। সার ও তেলের দাম সমন্বয় এ সময় না করে আরেকটু পরে করলে বাজারকে অস্থিতিশীল করার সুযোগ পাবে না দুষ্টচক্র। যারা দ্রব্যমূল্যের চাপে জর্জরিত, তাদের জন্য খাদ্য সমর্থনসহ প্রয়োজনীয় সামাজিক সুরক্ষা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। মুদ্রানীতিকে তার মূল্যস্ফীতিবিরোধী কার্যক্রমে সাহসী ভূমিকা নিতে উৎসাহ দিতে হবে। পাশাপাশি কৃষকসহ খুদে ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য পর্যাপ্ত ঋণ সহায়তা দিয়ে সাপ্লাইচেনকে মজবুত করে বাজারকে ক্রেতাসহায়ক করতে হবে।

যুগান্তর : রাজস্ব আহরণ বাড়াতে কী কী পদক্ষেপ জরুরি?

ড. আতিউর : রাজস্ব আহরণে এনবিআরকে আরও স্বাধীন ও সক্ষম করে গড়ে তুলতে হবে। এ প্রতিষ্ঠানটিকে দক্ষ জনবল, তাদের প্রশিক্ষণ এবং নিজস্ব গবেষণার সুযোগ করে দিতে হবে। পরোক্ষ করের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের ওপর আরও জোর দিতে হবে। সেজন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। ডিজিটাল লেনদেন এখন বেশ পোক্ত হতে পেরেছে। তাই প্রত্যেক নাগরিকের ডিজিটাল পরিচয়ে তাদের আয়ের রিপোর্ট তারাই যেন করেন এবং সেভাবেই প্রত্যক্ষ কর কাটা হয়, সেরকম প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা অর্জনের সুযোগ করে দিতে হবে। অর্থবিভাগ থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে যে আসন্ন অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪০ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হতে পারে। এটি অর্জন চ্যালেঞ্জিং হলেও অসম্ভব নয়। তামাকবিরোধী গবেষক ও নাগরিক সংগঠনগুলো তামাকপণ্যে কার্যকর করারোপের যে প্রস্তাব সামনে এনেছে, তা বাস্তবায়ন করা গেলে এ বাড়তি লক্ষ্যমাত্রার প্রায় এক-চতুর্থাংশ বাড়তি কর তামাক থেকেই পাওয়া যাবে। কাজেই তামাকে বাড়তি করারোপসহ সারা দেশের কর দিতে সক্ষম মানুষের জরিপ পরিচালনা করে তাদের করজালে নিয়ে আসতে হবে। যেসব মামলার জটে কর আদায় করা যাচ্ছে না, সেগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য যা যা দরকার তাই করতে হবে। এডিআর বা বিকল্প নিষ্পত্তি কাঠামোর সদ্ব্যবহার করতে এনবিআরকে উৎসাহিত করতে হবে। কর দেওয়া দেশপ্রেমের অংশ এ বার্তাটি ছোটবেলা থেকে প্রতিটি নাগরিকের মনে গেঁথে দিতে হবে। আমাদের জিডিপির মাত্র ৯-১০ শতাংশ রাজস্ব আমরা আদায় করি। এটি লজ্জার বিষয়। যারা বেশি সম্পদের মালিক, তারা হয় কর ফাঁকি দেন অথবা দেনই না। এভাবে চলতে পারে না। অবশ্য করব্যবস্থায় দ্রুত সংস্কার আনা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।