অন্যান্য

শুধু আইন দিয়ে খাদ্য নিরাপদ হবে না, ‘বিবেকবান’ হতে হবে: মন্ত্রী

শুধু আইন দিয়ে খাদ্য নিরাপদ হবে না, ‘বিবেকবান’ হতে হবে: মন্ত্রী

শুধু আইন দিয়ে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব নয়, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে প্রত্যেকে ‘বিবেকবান’ হতে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, ‘আমরা যে খাদ্যটাকে অনিরাপদ করে তুলছি, সেটাই আবার আমি খাচ্ছি, আমার কোনো ভাই খাচ্ছে অথবা আমাদের কোনো শিশু খাচ্ছে। তাই আমাদের নিজেদের মধ্যে আগে সদিচ্ছা তৈরি করতে হবে যে আমরা নিরাপদ খাদ্য খেতে চাই।’

খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, উৎপাদক থেকে ভোক্তা সবাইকে নিরাপদ ও পুষ্টিমান সম্পন্ন খাবার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। মাঠে উৎপাদিত ফসল কিংবা পুকুরের তাজা মাছ কিনে আনলেও ভোক্তার টেবিলে যেতে যে কোনো পর্যায়ে সেটা অনিরাপদ হতে পারে। সে কারণে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে প্রয়োজন সবার সচেতনতা ও সদিচ্ছা। 

বুধবার ঢাকায় বিয়াম ফাউন্ডেশন অডিটোরিয়ামে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘সুস্বাস্থ্যের মূলনীতি, নিরাপদ খাদ্য ও স্বাস্থ্যবিধি’ প্রতিপাদ্যে পঞ্চমবারের মতো দেশে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উদযাপিত হয়েছে।

সাধন চন্দ্র মজুদার বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, সভা-সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে ভোক্তাদের সচেতন করা হচ্ছে। পাশাপাশি খাদ্য উৎপাদক ও ব্যবসায়ীদেরও সেনসিটাইজ করা হচ্ছে। ’

তিনি বলেন, ১৮ কোটি মানুষের খাবার সংকট নেই। এখন জনগণকে পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের পাশাপাশি  সুস্থ সবল জাতি গঠনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারিকালেও দেশে খাদ্যের অভাব হয়নি, একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। দেশে বর্তমানে খাদ্যের সর্বোচ্চ মজুদ রয়েছে উল্লে­খ করে তিনি বলেন, ‘নিম্ন আয়ের মানুষ যাতে কষ্ট না পায়, সেজন্য সারাদেশে জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে ওএমএস-এর মাধ্যমে চাল বিক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’

খাদ্য সচিব ড. নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। স্বাগত বক্তব্য দেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইউম সরকার।

মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘মাছ, মাংস ও দুধ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন উদ্বৃত্ত দেশের পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইতোমধ্যে এই পণ্যগুলোকে বহুমুখীকরণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও ভোক্তার কাছে মানসম্পন্ন মাছ, মাংস ও দুধ পৌঁছানো নিশ্চিতে ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।’ এ সময় তিনি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে গণমাধ্যমকর্মী ও ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।