আজকের পত্রিকা

বিমান

লিজ বাণিজ্যে ডুবতে বসেছে বিমান

উড়োজাহাজ লিজ বাণিজ্যে ডুবছে বিমান। রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থাটিকে একের পর এক বিপর্যয়ে ফেলছে এই লিজ বাণিজ্য। লিজের যৌক্তিকতা প্রমাণে নিজস্ব বেশ কয়েকটি এয়ারক্রাফট নষ্ট করে রাখা হয়েছে। বহরের নতুন উড়োজাহাজগুলোর ব্লক আওয়ার কম দেখিয়ে বসিয়ে রাখা হচ্ছে। কারণে-অকারণে দুর্ঘটনার মুখে পড়ছে মূল্যবান বিমানগুলো। পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ঘটছে শিডিউল বিপর্যয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবছর হজ মৌসুম শুরুর আগে রহস্যজনক এই দুর্ঘটনার ঘটনা বেশি ঘটছে। ১২ এপ্রিল বিমানের নিজস্ব হ্যাঙ্গারে দুই বিমানের সংঘর্ষের নেপথ্যেও লিজ বাণিজ্য বলে মনে করছেন তারা। অভিযোগ, উড়োজাহাজ লিজ মানে শত কোটি টাকার কমিশন বাণিজ্য। যার কারণে প্রতি বছর হজ এলেই উড়োজাহাজ লিজ নিতে তৎপর হয়ে উঠে বিমানের টপ টু বটম।

এবারও হজের জন্য দুটি এয়ারক্রাফট লিজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। লুটপাটের মাধ্যমে নিজদের আখের গোছাতে ব্যস্ত একটি সিন্ডিকেট পেছন থেকে এসব করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হেস্টনের উড়োজাহাজ দুটি লিজ নিলে বিমানের গচ্চা যাবে কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকা।

বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, ১২ এপ্রিল বিমানের নিজস্ব হ্যাঙ্গারে সংঘর্ষে দুটি নতুন বিমানের বড় ধরনের ক্ষতি হলেও এ নিয়ে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ঘটনার পর এক মাস পেরিয়ে গেলেও তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আলোর মুখ দেখেনি। পরদিন বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেও নির্বিকার বিমান প্রশাসন।

তার মতে, হজের আগে লিজ বাণিজ্য করতেই পরিকল্পিতভাবে দুটি মূল্যবান এয়ারক্রাফট বোয়িং ৭৭৭ ও বোয়িং ৭৩৭-এর ওপর ‘হামলা’ হয়েছিল। তদন্তে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসবে বলে ভয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। তড়িঘড়ি করে বোয়িং টিম ঢাকায় পৌঁছার আগেই বিমানের নিজস্ব হ্যাঙ্গারে এয়ারক্রাফট দুটি মেরামত করে ফেলা হয়েছে। ওয়ারেন্টি শপকে না জানিয়ে এভাবে নিজস্ব হ্যাঙ্গারে মেরামত করায় ডি চেক করানোর জন্য আরও বড় ধরনের আর্থিক দণ্ডের মুখে পড়তে পারে দুই এয়ারক্রাফট।

বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী যুগান্তরকে বলেন, লিজ নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি হয় না এটা বলা যাবে না। এর আগেও লিজ নিয়ে বিমান মন্ত্রণালয়কে বড় ধরনের অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল। এয়ারক্রাফট লিজ নিয়ে শত শত কোটি টাকা গচ্চা দিতে হয়েছে সরকারকে। তিনি বলেন, ১১ এপ্রিল তিনি বিমানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, প্রয়োজন ছাড়া কোনো লিজ নয়। এ বছর হজযাত্রী কম। কাজেই বিমানের নিজস্ব এয়ারক্রাফট দিয়ে যদি সম্ভব হয় তাহলে লিজে না যাওয়ার জন্য তিনি বলেছেন।

২০১৪ সালে সম্পাদিত ৫ বছর মেয়াদি একটি লিজ চুক্তি এখনও বিমানের গলার কাঁটা হয়ে বিঁধছে। এ চুক্তির কারণে বিমানকে একটি এয়ারক্রাফট ও একটি ইঞ্জিন না চালিয়েও ভাড়া হিসাবে ৬শ কোটি টাকার বেশি অর্থ দিতে হয়েছে লিজদাতাকে। ওই উড়োজাহাজ লিজের সময় স্থানীয় একটি কোম্পানিকে এজেন্ট হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

কিন্তু স্থানীয় এজেন্টের সব কাজ করত বিমান। অথচ বিমানের ওই সিন্ডিকেট ভাড়ার টাকার ৫ শতাংশ হারে স্থানীয় এজেন্টকে প্রতি মাসে গড়ে ৪৭ লাখ টাকা করে দিয়েছে। ৫ বছর ধরে এই টাকা দিয়ে গেছে বিমান কর্তৃপক্ষ। এ খাত থেকেও বড় অঙ্কের মাসোহারা পেত তৎকালীন ফাইন্যান্স, ফ্লাইট অপারেশন ও প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্ট সিন্ডিকেট।

২০১৬ সালেও হজের জন্য লিজ নেওয়া হয় একটি এয়ারবাস। অভিযোগ ছিল ওই এয়ারবাসের স্থানীয় এজেন্ট ছিল বিমানের ওই সময়ের ফাইন্যান্স বিভাগের এক শীর্ষ কর্মকর্তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আর এ কারণে বোয়িং ৭৭৭-৩০০ উড়োজাহাজ লিজ না নিয়ে এয়ারবাস নেওয়া হয় চড়া মূল্যে। পরে আরও দুটি উড়োজাহাজ লিজ নেওয়া হয়।

লিজ প্রসঙ্গে বিমানের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএম মোসাদ্দিক আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, ইজিপ্ট এয়ারলাইন্স থেকে লিজে আনা উড়োজাহাজটি বিমানকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছিল। তবে সব লিজকে ঢালাওভাবে খারাপ বলা যাবে না।

২০১১ সালে বিমান একটি বোয়িং ৭৪৭ উড়োজাহাজ লিজ নিয়েছিল এয়ার আটলান্টা নামের একটি কোম্পানির কাছ থেকে। ওই লিজে বিমান ৫৪ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে। লোকসানের কারণ হিসাবে বলা হয়েছিল বিমানের পরিকল্পনা ও ফাইন্যান্স বিভাগ লিজ নেওয়ার সময় উড়োজাহাজের গড় কেবিন ফ্যাক্টর ৮০ ভাগের ওপর ধরে হিসাব চূড়ান্ত করেছিল।

কিন্তু চুক্তি শেষে দেখা গেছে, লিজে আনা বোয়িং ৭৪৭-এর কেবিন ফ্যাক্টর ছিল মাত্র ৬৮.৪০ শতাংশ। এছাড়া চুক্তি অনুযায়ী ওই এয়ারক্রাফট ১ বছরে ৩ হাজার ঘণ্টা আকাশে উড়ার কথা। কিন্তু বিমানের একটি সিন্ডিকেট গোপনে ম্যানেজমেন্ট ও বিমান পরিচালনা পর্ষদকে না জানিয়ে চুক্তির বাইরে আরও ৪৪৯ ঘণ্টা বেশি আকাশে উড়ায়।

এতে বিমানকে ৫৪ কোটি টাকার বাইরে অতিরিক্ত ২ লাখ ৭০ হাজার ৪৬০ মার্কিন ডলার বেশি গুনতে হয়েছিল। একই অভিযোগ ছিল নাইজেরিয়ার কাবো এয়ারলাইন্স থেকে লিজে নেওয়া উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৪৭-এর বিরুদ্ধে। ওই উড়োজাহাজটিও চুক্তির বাইরে বড় অঙ্কের টাকার ফ্লাই করেছিল। বিমান পরিচালনা পর্ষদকে না জানিয়ে তৎকালীন বিমান ম্যানেজমেন্ট গোপনে ওই ফ্লাই করে।

অভিযোগ আছে, হজের জন্য উড়োজাহাজ ভাড়ায় এনে বিমান ম্যানেজমেন্ট গোপনে ওই উড়োজাহাজটি চুক্তির বাইরে আরও ৩ মাস বেশি চালিয়েছিল। এতে বিমানকে ১০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ গুনতে হয়েছিল ওই বছর। এতে সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ হয়েছে যেটি তা হলো, ভাড়ার উড়োজাহাজ চালাতে গিয়ে বহরের নিজস্ব উড়োজাহাজগুলো বসিয়ে রাখা হয়েছিল। তারও আগে ফাইন্যান্স বিভাগের যোগসাজশে সিন্ডিকেট সিকিউরিটি মানি কাটছাঁট না করে লিজে আনা একটি উড়োজাহাজের ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়ায় বিমানকে ২২ কোটি টাকার বেশি অর্থ গুনতে হয়েছিল।

জানা গেছে, ২০০৯ সালে উড়োজাহাজ সংকটের কথা বলে বিমান কর্তৃপক্ষ পর্তুগালের ইউরোআটলান্টা নামের একটি কোম্পানির কাছ থেকে একটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ এয়ারক্রাফট লিজ নেয়। ঘণ্টায় ৬ হাজার ৪শ ডলারে উড়োজাহাজটি লিজ নেওয়া হয়। কিন্তু নানা অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে এক বছরের মাথায় উড়োজাহাজটি ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিমান।

এবারও বিমানের পরিকল্পনা বিভাগ নিজস্ব উড়োজাহাজগুলোর ব্লক আওয়ার কম দেখিয়ে হেস্টনের ২৬৬ আসনের দুটি এয়ারবাস লিজ নেওয়ার জন্য পর্ষদে ফাইল উপস্থাপন করে। আর তড়িঘড়ি করে মাত্র ৭ সদস্যের উপস্থিতিতে পর্ষদ সেটি অনুমোদন দেয়। দুজন সদস্য এর বিরোধিতা করলেও তার তোয়াক্কা করা হয়নি রহস্যজনক কারণে।

এমনকি ওই বোর্ড সভাটি মাত্র ৬ ঘণ্টা আগের নোটিশে করা হয়। তাতে অনেক সদস্য সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্র জানায়, ঈদের আগে যখন সারা দেশে ছুটির আমেজ শুরু হয় তখন অর্থাৎ এপ্রিলের ৩০ তারিখ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের ২৭৬তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাত্র ৬ ঘণ্টা আগের নোটিশে অনুষ্ঠিত সভায় ২৬৬ আসনের ওই দুটি উড়োজাহাজ ওয়েট লিজিংয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়।

বোর্ড সভায় বিমানের চেয়ারম্যান-এমডি ছাড়াও বিমানের করপোরেট প্ল্যানিং ও প্রকৌশল বিভাগের আট কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন না বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যানসহ ৫ জন বোর্ড সদস্য যাদের ছাড়া এর আগে কোনো স্পর্শকাতর এজেন্ডা পাশ করতেন না চেয়ারম্যান।

পরিচালনা পর্ষদের এক সদস্য জানান, বিমানের করপোরেট প্ল্যানিং ও ট্রেনিং বিভাগ থেকে গত মাসে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। প্রস্তাবে লিজের সঙ্গে সেই এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানের ক্রু, ইঞ্জিনিয়ার ও ইন্স্যুরেন্স নেওয়ার কথা ছিল। তবে বিমানের পক্ষ থেকে সেটি নাকচ করা হয়। নাকচের কারণ হিসাবে বলা হয়, ‘ল্যাক অব এ ফেইথফুল স্টাডি অ্যান্ড অ্যানালাইসিস’ (পর্যাপ্ত গবেষণা না থাকা)। কিন্তু একই প্রস্তাব বোর্ডে পাশ করে দেন বিমান পর্ষদ চেয়ারম্যান সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসানের নেতৃত্বে ৫ সদস্য। ওই সদস্য আরও জানান, বোর্ড সভায় তিন সদস্য এ প্রস্তাবের বিপক্ষে ছিলেন। পাঁচজন ছিলেন পক্ষে। বিপক্ষে থাকা তিনজনের দুজন সভায় বলেন, বিমানের বহরে বর্তমানে ২১টি উড়োজাহাজ রয়েছে। সেগুলো দিয়েই হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব।

পর্ষদের অন্যতম পরিচালক ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান বলেন, ‘আমি ওই সভায় উপস্থিত ছিলাম না। সৌদি আরবে ছিলাম, এখনও আছি। সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমার কোনো কিছু জানা নেই।’ সভায় পর্ষদ সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছিলেন। তবে ঘণ্টাপ্রতি ভাড়া সাত হাজার ডলারের অঙ্ক ছাড়া চুক্তির বিস্তারিত তথ্য বোর্ড সদস্যদের কাছে তুলে ধরা হয়নি।

বিমান পর্ষদের সাবেক সদস্য কাজী ওয়াহিদুল আলম যুগান্তরকে বলেন, বর্তমানে বিমানের অনেক বড় বহর রয়েছে। তাদের বোয়িং-৭৭৭ মডেলের ভালো উড়োজাহাজ আছে। এগুলো হজ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য যথেষ্ট। পৃথক উড়োজাহাজ আনার দরকার আছে বলে মনে করি না। এত টাকা দিয়ে উড়োজাহাজ এনে বিমান কতটা মুনাফা করতে পারবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

বিমানের মার্কেটিং বিভাগের একজন সদস্য বলেন, বিমান ২০১৮ ও ২০১৯ সালে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হজ ফ্লাইট পরিচালনা করে। তাতে বিমানের প্রায় ২০০ কোটি টাকা মুনাফা হয়। দুবারই ৫০ হাজারের বেশি যাত্রী বহন করেছিল বিমান। এবার মাত্র ২৭ হাজার হজযাত্রী পরিবহণের জন্য কেন ২টি উড়োজাহাজ লিজ নিতে হবে এটাই প্রশ্ন।

ফ্লাইট অপরেশন বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, বর্তমানে বিমানের ৪১৯ আসনের ৪টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে যেগুলো গড়ে ১২.৬৭ ঘণ্টা আকাশে উড়ছে। বাস্তবে এগুলো ১৬.৬৭ ঘণ্টা (ব্লক আওয়ার) আকাশে উড়ানো সম্ভব। অর্থাৎ একটি ৭৭৭ দিয়ে দিনে ১টি হজ ফ্লাইট ও একটি কম দূরুত্বের শিডিউল ফ্লাইট করা সম্ভব। একই ভাবে বোয়িং ৭৭৭-২০০ বর্তমানে ১১.৩৩ ঘণ্টা আকাশে উড়ছে। এ জাহাজগুলোকেও ১২.৯৮ ঘণ্টা আকাশে উড়ানো সম্ভব। এছাড়া বোয়িং ৭৩৭ বর্তমানে আকাশে উড়ছে মাত্র ৮.৮২ ব্লক আওয়ার। এ উড়োজাহাজগুলোকেও ১১.৯৯ ব্লক আওয়ার উড়ানো সম্ভব।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, যদি এটা করা সম্ভব হয় তাহলে হজের জন্য উড়োজাহাজ লিজ নেওয়ার দরকার হবে না। তার মতে, হজের জন্য রুট থেকে বোয়িং ৭৭৭ গুলো পুরোপুরি প্রত্যাহার করা লাগবে না। দিনে একটি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট করেও ওই জাহাজ দিয়ে আরেকটি শিডিউল ফ্লাইটও করা যাবে অন্য সময়। তাতে সিডিউলে কোনো ক্ষতি হবে না। বর্তমানে বিমানের ভাগে যে হজযাত্রী তা পরিবহণ করতে বি ৭৭৭-এর ৭৩টি ফ্লাইট লাগবে। প্রতিদিন ৪টি ফ্লাইট হিসাবে ১৮ দিনে এই যাত্রী পরিবহণ করা সম্ভব। আর সৌদি সিভিল এভিয়েশনের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করে যদি দিনের সংখ্যা আরও বাড়ানো যায় তাহলে নিজস্ব উড়োজাহাজ দিয়েই হজ ফ্লাইট করা সম্ভব। আর সৌদি আরবের শিডিউল ফ্লাইটেও হজযাত্রী পাঠানো যাবে। কোনো এয়ারক্রাফট লিজ নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। তাতে বিমান ২শ কোটি টাকার উপর মুনাফা করতে পারবে।