টিপ পরা নিয়ে প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দারকে হেনস্তার ঘটনা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শেষ হওয়ার নামগন্ধ নেই।
যদিও ভুক্তভোগীর অভিযোগের পর এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ক্লু না থাকার পরও অভিযুক্ত কনস্টেবল নাজমুলকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।
তেজগাঁও কলেজের ওই শিক্ষিকার দেওয়া মোটরসাইকেলের নম্বর ধরে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়।
তবে নাজমুলের মোটরসাইকেলের ব্যাপারে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল গণমাধ্যমে। কনস্টেবল নাজমুল চোরাই মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন বলে জানানো হয়েছিল।
পরে জানা গেল, মোটরসাইকেলটি কনস্টেবল নাজমুলেরই। তার নামেই রেজিস্ট্রেশন করা।
কেন এমন ভুল তথ্য ছড়িয়েছিল সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন শেরেবাংলা নগর থানার ওসি উৎপল বড়ূয়া।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, শিক্ষিকা লতা সমাদ্দার তার জিডিতে পুলিশ সদস্যের ব্যবহার করা মোটরসাইকেলের নম্বর (১৩৩৯৭০) উল্লেখ করেছিলেন। তিনি মোটরযানটির পুরো নম্বরটি দিতে পারেননি। পুলিশ বিআরটিএর সহায়তায় জানতে পারে, লতা সমাদ্দারের দেওয়া ওই নম্বরের ঢাকা মেট্রো ‘হ’ সিরিয়ালের মোটরসাইকেলের মালিকের বাসা মিরপুর। সেই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তার এই নম্বরের মোটরসাইকেল অনেক আগেই চুরি হয়েছে। এর জিডির কপিও দেখান ওই ব্যক্তি।
এমন তথ্যে খবর ছড়িয়ে পড়ে, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য চোরাই মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন।
ওসি উৎপল বড়ূয়া বলেন, মঙ্গলবার পুলিশ সারাদেশে জিডিতে উল্লিখিত নম্বর ধরে যাচাই করতে গিয়ে নিশ্চিত হয়, মোটরসাইকেলের মালিক কনস্টেবল নাজমুল তারেক নিজেই। প্রতিটি জেলা ও মহানগরে মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশনে একই ধরনের দুটি নম্বর থাকতে পারে। ১০০ সিসির ওপরে ‘ল’ এবং নিচে ‘হ’ সিরিয়ালে এই নিবন্ধন হয়। অভিযুক্ত কনস্টেবলকে শনাক্তের পর দেখা যায়, ‘যশোর ল ১৩-৩৯৭০ নম্বর’ মোটরসাইকেলে ছিলেন তিনি। সেটি তার নামেই নিবন্ধন করা।