কথাসাহিত্যিক
অতীতে যুগান্তর বিভিন্ন ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করেছে, এজন্য এ পত্রিকার কাছে আমাদের প্রত্যাশা আরও বেড়েছে। আমি আশা করব, যুগান্তর সাহিত্যের জন্য আরও বেশি জায়গা বরাদ্দ করবে; প্রতিষ্ঠিত লেখকদের পাশাপাশি নবীন লেখকদের লেখা প্রকাশে আরও গুরুত্ব বাড়ানো হলে নবীন লেখকরা উৎসাহিত হবে। এতে পাঠক উপকৃত হবে। নতুন বই নিয়ে বিশেষ রচনা প্রকাশিত হলে বই পাঠে পাঠকদের আগ্রহ বাড়বে বলে আমার বিশ্বাস। নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে যুগান্তর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পত্রিকাটির এ বলিষ্ঠ ভূমিকা অব্যাহত থাকবে, এটাই প্রত্যাশা। একসময় মনে করা হতো, অভাবের কারণে মানুষের দুর্নীতি ও নানা রকম অপকর্মে যুক্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। কিন্তু সম্প্রতি নানা ঘটনার প্রেক্ষাপটে আমাদের সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। আমাদের চারপাশের মানুষগুলোর নৈতিক মূল্যবোধের চর্চা বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। সমাজে সিনিয়র সিটিজেন, শিশু ও নারীর সম্মানের জায়গা আমাদের প্রত্যাশিত জায়গায় নেই। শুধু তাই নয়, এসব ক্ষেত্রে নানা ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনার কথাও আমার শুনতে পাই। বিষয়টি উদ্বেগজনক। এ ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা যাতে না ঘটে, এ বিষয়ে সুধীজনের দৃষ্টিভঙ্গি যুগান্তর ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরবে বলে আমার বিশ্বাস। বস্তুত এসব বিষয়ে সুধীজনের ভাবনা নতুন প্রজন্মের কাছে যথাযথভাবে তুলে ধরা হলে আশা করা যায় তারা আরও দায়িত্বশীল হবে। মানুষের সার্বিক মূল্যবোধের উন্নয়নে যুগান্তর বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে, এটাই প্রত্যাশা। ২২ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এ পত্রিকার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।