টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি। প্রথম ১৩ ইনিংসে তিন সেঞ্চুরি। মুমিনুল হককে তখন ডাকা শুরু হয় বাংলাদেশের ব্র্যাডম্যানের নামে। ২০১৮ সালে নজরকাড়া পারফরম্যান্সে চার সেঞ্চুরি হাঁকান। পরের বছর হঠাৎ নেতৃত্ব তার কাঁধে চেপে বসে।
শুরুতে কিছুটা এলোমেলো দেখালেও ২০২১ সালে দারুণ পারফরম্যান্স তার। অথচ, তার টেস্ট-নেতৃত্বের শেষটা সুখকর হলো না। আজ বোর্ড মিটিংয়ে মুমিনুলের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করতে পারে বিসিবি। সেই নামটা হতে পারে সাকিব।
মঙ্গলবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের গুলশানের বাসায় তার সঙ্গে আলোচনার পর স্বেচ্ছায় নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন মুমিনুল। রানে ফিরতে তার এ আত্মত্যাগ। এদিকে কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিম জানিয়েছেন, তিনি মুমিনুলের সমস্যা ধরতে পেরেছেন। কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে নিজেকে ঝালিয়ে নিতে এসে পরিচিত সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলতে চাননি মুমিনুল। যুগান্তরকে শুধু বলেন, ‘দুঃখিত।’ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাওয়ার আগে এ নিয়ে কথা বলতে চান না তিনি। তার পুরো মনোযোগ ব্যাটিংয়ে।
বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘মুমিনুল প্রথমে পারফরমার। অধিনায়ক হিসাবে চেষ্টা করেছে নিজের সেরাটা দিতে। আমি কাছে থেকে দেখেছি তাকে। খুবই সিনসিয়ার ছেলে। অধিনায়কত্বও গুরুত্বের সঙ্গে করার চেষ্টা করেছে। দুর্ভাগ্যবশত, নেতৃত্ব তার ব্যাটিংয়ে প্রভাব ফেলেছে। মুমিনুলের এটা ভালো সিদ্ধান্ত। ক্যারিয়ার অনেক দূর নিয়ে যেতে হবে তাকে। পারফরম্যান্স দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছে। এখন সে অনেক পরিণত। তার রানে ফেরাটা জরুরি।’
মাহমুদ বলেন, ‘তার ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে। আমাদের সবার তার সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানানো উচিত। সমর্থন করা উচিত। আশা করি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে মুমিনুল স্বরূপে ফিরবে।’ তিনি বলেন, ‘এখন আর মুমিনুলকে টেস্ট অধিনায়ক হিসাবে রাখা ঠিক হবে না। সাকিব আমাকে সব সময় বলেছে, অন্য ফরম্যাটের চেয়ে সে টেস্ট বেশি উপভোগ করে। সে সব সময় টেস্ট খেলতে চায়। সাকিব যদি খেলতে চায়, টেস্ট অধিনায়ক হতে চায়, তাহলে হয়তো তার মধ্যেও বড় পরিবর্তন আসবে। টেস্ট ক্রিকেটেরও উন্নতি হবে। এছাড়া তামিম ও মুশফিকও আছে।’