কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর জামিন পেয়ে বিদেশে চলে গেছেন এবং সেখান থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরকারের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা চালাচ্ছেন বলে আদালতকে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম শামীম সোমবার দুপুরে ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালকে এ তথ্য জানান।
কিশোর ছাড়া আরও ৬ জন প্রপাগান্ডা চালাচ্ছেন দাবি করে শামীম বলেন, তারা সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছেন যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে অপরাধ বলে বিবেচিত।
এদিকে, এদিন আদালতে কিশোরের আইনজীবী জায়দুর রহমান আদালতে চার্জ গঠন শুনানির পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
আবেদনপত্রে জায়দুর রহমান বলেন, তিনি মোবাইল ফোনে কিশোরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন কিন্তু বারবার তার মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়েছেন। তাই তিনি আদালতে সময় প্রার্থনা করেছেন।
এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন, হাঙ্গেরি ভিত্তিক উদ্যোক্তা জুলকারনাইন সায়ের খান ওরফে সামি, সুইডিশ-বাংলাদেশি সাংবাদিক তাসনিম খলিল, বিএলই সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ারহোল্ডার-পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, রাজনৈতিক-নাগরিক সংগঠন রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম, আশিক ইমরান এবং স্বপন ওয়াহেদ।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আস শামস জগলুল হোসেন বলেন, কিশোরের জন্য এটাই শেষ সুযোগ। এরপর যদি তিনি আদালতে আদেশ অমান্য করেন তাহলে পরবর্তী শুনানিতে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা দেওয়া হবে।
এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, কিশোরের অনুপস্থিতিতেই চার্জ গঠন শুনানি চলবে।