২৩ মার্চ দিনটি এখন থেকে উচ্ছ্বাস নিয়ে স্মরণ করবে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। অথচ বুধবার ম্যাচ শুরু আগ পর্যন্ত দিনটি ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে ‘ভুলে যেতে চাওয়ার’ দিন।
আর সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে বুধবারের ঐতিহাসিক জয়ের পর পরই সেই হৃদয় ভাঙার দিনটি স্মরণ করিয়ে দিল ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে তীরে এসে তরী ডুবায় বাংলাদেশ। জেতা ম্যাচ হেরে বাংলাদেশের কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয় ভেঙেছিল টাইগাররা।
বুধবার সেঞ্চুরিয়নে ১৪১ বল ও নয় উইকেট হাতে রেখে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ জিতেছে বাংলাদেশ, যা অবিশ্বাস্য ও অবিস্মরণীয়।
তবে ছবিটা পুরোপুরি ভিন্ন ছিল ৬ বছর আগে। ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের কাছে শেষ মুহূর্তে হেরে যায় বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটাররা হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ ভারতকে উপহার দিয়ে আসেন!
বেঙ্গালুরুতে সেদিন ভারতের ৭ উইকেটে ১৪৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নামে টাইগাররা। দুর্দান্ত ব্যাট করে ১৯ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৬ রান তুলে ফেলে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার পড়ে মাত্র ১১ রান! টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ম্যাচে যা কঠিন নয়। তার ওপর উইকেটে পঞ্চপাণ্ডবের অন্যতম দুই তারকা মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক।
তাই ভারতবধের উচ্ছ্বাসে ফেটের পড়ার অপেক্ষায় ছিল টাইগার সমর্থকরা। কিন্তু না; বাংলাদেশ সমর্থকদের হৃদয় ভেঙে চূড়মার করে দেন ভারতীয় অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া।
শেষ ওভারে তার প্রথম ডেলিভারিতে ১ রান নেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে পরপর দুটি চার মারেন মুশফিকুর। সুতরাং ৩ বলে ৯ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ। ম্যাচ টাই করতে তাদের দরকার ছিল ৩ বলে ১ রান। জিততে প্রয়োজন ছিল ২ রান।
এমন অবস্থায় স্কোর লেভেলের কথা না ভেবে জয়ের লক্ষ্যে চতুর্থ বলে শট খেলেন মুশফিক। অযথা উইকেট দিয়ে আসেন তিনি। কোটি কোটি সমর্থকদের হতাশায় পুড়িয়ে পরের বলে আউট হয়ে যান মাহমুদুল্লাহ। শেষ বলে রানআউট হন মোস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ ১ রানে ম্যাচটি হেরে যায়।
ভারতের বিপক্ষে ১ রানে হারের ম্যাচ হাইলাইটস দেখুন –