প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রার্থীর বদলে প্রক্সি দেওয়ার আগেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ৮। এ সময় তাদের কাছ থেকে অনলাইনে করা আবেদন ও এডমিট কার্ড, চেকবই ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে বিষয়টি জানিয়েছেন র্যাব ৮ এর উপ পরিচালক মেজর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বরগুনার আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারি ও তালতলী উপজেলার উত্তর ঝাড়াখালি এলাকার বাসিন্দা মাহাবুবু আলম তুহিন, একই উপজেলার বড় পারা এলাকার রিয়াজ হোসেন ও বরগুনা সদর থানার কদমতলা এলাকার আল আমিন।
মেজর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে বরিশাল লঞ্চঘাটের দুই নম্বর গেটের সামনে থেকে তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়। পরে গ্রেফতারকৃত মাহাবুব আলম তুহিনকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাসহ বিভিন্ন চাকুরীর পরীক্ষায় অর্থের বিনিময়ে চাকুরীপ্রার্থীদের পক্ষে মেধাবী ছাত্রদের দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ানো হয়। প্রতি চাকুরীপ্রার্থীর কাছ থেকে আট থেকে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে থাকেন তারা। টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যাংকের চেক ব্যবহার করেন চক্রটি।
গ্রেফতারকৃত রিয়াজ ও আল আমিন র্যাবকে জানিয়েছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দিতে তারা ঢাকা থেকে বরিশালে এসেছেন। পরীক্ষায় প্রক্সি পরীক্ষার্থী হিসেবে অংশগ্রহণের জন্য মাহাবুব আলম তুহিনের কাছ থেকে ৩০ হাজার করে টাকা নিয়েছেন তারা। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পর পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হলে আরও দুই লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিলো।
মেজর জাহাঙ্গীর আলম জানান, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাক্তির নামীয় সীল মোহর, পরীক্ষার অনলাইন আবেদন কপি ৩৬টি, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই ১০টি, মুড়ি বই ৭টি, দুইটি ডায়েরি, জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত সাতটি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানায় র্যাব ৮ এর ডিএডি এনামুল হক বাদী হয়ে মামলা করেছেন বলে জানান র্যাব ৮ এর উপ পরিচালক মেজর জাহাঙ্গীর আলম।