বাংলার মুখ

শীত মৌসুমের শুরুতে পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গাছে গাছে দেখা যাচ্ছে মৌচাক। সম্প্রতি আমিলাপাড়া গ্রামে

পেকুয়ায় গাছে গাছে মৌচাক, মধু বেচে আয় করছেন স্থানীয় লোকজন

কুতুবদিয়া উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলামের বাড়ি রাজাখালী ইউনিয়নে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরও হয়তো রাজাখালীর বিভিন্ন গ্রামে বিছিন্নভাবে দু–একটি মৌচাক ছিল। তবে শীত মৌসুমের শুরুতে রাজাখালীর বিভিন্ন গ্রামে শতাধিক মৌচাক দেখা যাচ্ছে। এ জন্য স্থানীয় লোকজনও উৎফুল্ল। প্রতি মৌচাক থেকে তাঁরা ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করছেন।

অনুকূল পরিবেশ পেলে অঞ্চলটি মধুপল্লি হতে পারে বলে মনে করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান মনজুরুল কিবরিয়া। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সুবিধাজনক স্থান, মধু সংগ্রহের পর্যাপ্ত উদ্ভিদ ও অনুকূল পরিবেশ পেয়েছে বলে এখানে মৌচাকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যে গাছের কারণে বা পরিবেশের কারণে মৌমাছি এ এলাকায় এসেছে, তা যদি যথাযথভাবে শনাক্ত করে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে এলাকাটি মধুপল্লি হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।

রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বলেন, ‘মধুপল্লি করতে পারলে এলাকার অনেক বেকারের কর্মসংস্থান হতো। উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে কিছু করা যায় কি না দেখব।’