পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তারিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার রাতে উপজেলার বোর্ড অফিস বাজারের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়া পুলিশের দায়ের করা মামলায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. খলিলুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম মৃধাসহ ২৬ নেতাকর্মী ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত ৫ মার্চ রাতে দুমকি থানার এসআই মো. কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ৫ মার্চ সকালে দুমকি উপজেলা বিএনপি নেতাকর্মীরা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপির পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করতে শতাধিক নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন।
একই সময় সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে উপজেলা যুবলীগের একটি বিক্ষোভ মিছিল ওই এলাকা অতিক্রমকালে বিএনপি নেতাকর্মীরা যুবলীগের মিছিল লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ বাধা দেয়।
এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হন। এতে পুলিশ সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেন গুরুতর আহত হন। এ ছাড়া ইটপাটকেলে একাধিক পুলিশ সদস্য জখম হন।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. খলিলুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট নাটক সাজিয়ে আমাদের নামে ওই মিথ্যা মামলাটি করা হয়েছে। এটি আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র। এ মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে এতে আমাদের কোনো ধরনের হাত নেই।
দুমকি থানা ওসি মো. আবদুস সালাম বলেন, ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে সোমবার সকালে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।