জাতীয়

মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৫১ বছর পূর্তিতে শুক্রবার সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাত্তরের বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানায় হাজারো মানুষ। ছবি: মাহমুদ জামান অভি

নতুন, পুরনো স্বপ্ন মিললো স্মৃতিসৌধে এসে

কারও গায়ে লাল সবুজ পাঞ্জাবি, কারও শাড়ি, মাথায় লাল সবুজ ব্যান্ড, হাতে ফুলের ডালা; সব বয়সের, সব শ্রেণিপেশার মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ারে বিজয় দিবসে মুখরিত ছিল সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ।

দেশের নানা প্রান্ত থেকে সমবেত হওয়া মানুষের জন্য শুক্রবার সকালে স্মৃতিসৌধের দুয়ার উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে শহীদ বেদীর পথে যেন লাল সুবুজের স্রোত নামে।

জাতির বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে এসে বিজয়ের ৫১ বছরে পা দেওয়া বাংলাদেশকে ‘আধুনিক আর স্বয়ংস্বম্পূর্ণ’ হিসেবে দেখতে চাওয়ার কথা জানালেন তরুণরা; প্রবীণেরা বললেন সোনার বাংলাদেশে পৌঁছানোর স্বপ্নের কথা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন দুই বন্ধু মো.  সজীব এবং তৌহিদুল ইসলাম। তারুণ্যের ভাষায় তারা জানালেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে, অনেক জায়গায় উন্নতি হয়েছে।

“তবে আমরা যে সবদিক থেকে আধুনিক হতে পেরেছি তা কিন্তু নয়। আমাদের প্রত্যাশা, ২০৪১ সালের মধ্যে যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার কথা বলা হচ্ছে, তা যেন সফল হয়, আমরা যেন বিশ্বের সব দেশের সাথে সমানতালে চলতে পরি।”

গাজীপুরের ইকবাল সিদ্দিকী কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি বড় দল কলেজের পোশাকে স্মৃতিসৌধে এসেছিল শ্রদ্ধা জানাতে।

<div class="paragraphs"><p>বিজয়ের ৫১ বছর পূর্তিতে শুক্রবার সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসে শিক্ষার্থীরাও। ছবি: মাহমুদ জামান অভি</p></div>

বিজয়ের ৫১ বছর পূর্তিতে শুক্রবার সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসে শিক্ষার্থীরাও। ছবি: মাহমুদ জামান অভি

|

 

দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাইদুল হাসান বললেন, “যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে আমাদের স্বাধীনতা দেওয়া শহীদদের স্মরণ ও তাদের শ্রদ্ধা জানাতে এবং একটি সুন্দর সমৃদ্ধ ও আধুনিক বাংলাদেশের প্রত্যাশায় আমরা এখানে এসেছি।”

একাত্তরের রণাঙ্গনে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়াই করা ঢাকার দোহারের আ খ ম সিরাজুল ইসলাম প্রতি বছরের মত এবারও এসেছেন সাভারে। বয়স তাকে কাবু করেছে অনেকটা, মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের বার্ষিকী এলে কোনো কিছুই তাকে ঘরে বেঁধে রাখতে পারে না।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বললেন, স্মৃতিসৌধে এলে সেদিনের কথাগুলো মনে পড়ে; রক্তে শিহরণ অনুভব করেন এখনও।

“সেদিনের কথা আজও ভুলতে পারি না। স্বাধীন সোনার বাংলার জন্যে বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধে গিয়েছিলাম। দেশ স্বাধীন হয়েছে, তবে এখনও সোনার বাংলা হয়নি।

“বুড়ো হয়ে গেছি, কিন্তু আমাদের চোখে যে কিছু পড়ে না, তা নয়। আমাদের এখন অনেক অন্যায়, সামজিক অসঙ্গতি দেখেও আফসোস করতে হয়। অনেক কিছু দেখেই হতাশ হই। বিজয়ের ৫১ বছরে চাইব হানাহানি, দুর্নীতি, লুটপাটহীন বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা যেন প্রতিষ্ঠিত হয়।”

শুক্রবার সূর্যোদয়ের পরপরই জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করেন।

পরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আবারও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শেখ হাসিনা।

এরপর ধারাবাহিকভাবে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারাও শ্রদ্ধা জানান শহীদ দেবীতে।

<div class="paragraphs"><p>বিজয়ের ৫১ বছর পূর্তিতে শুক্রবার সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসে শিক্ষার্থীরাও। ছবি: মাহমুদ জামান অভি</p></div>

বিজয়ের ৫১ বছর পূর্তিতে শুক্রবার সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসে শিক্ষার্থীরাও। ছবি: মাহমুদ জামান অভি

|

 

পরে সাভারের স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন ও সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

বিজয় দিবসে ভোর থেকেই বড়দের হাত ধরে শিশু-কিশোরেরা ভিড় করে স্মৃতিসৌধে। বাহারি পোশাক, গালে রঙ-তুলিতে আঁকা লাল-সবুজের পতাকা আর চোখে-মুখে লেগে থাকা কৌতূহলে তারা যেন আগামীর বাংলাদেশের বার্তাই দিচ্ছিল।

লাল-সবুজ জামা গায়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে স্মৃতিসৌধে এসেছিল হলিক্রস উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর নবনীতা দাস। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সে জানায়, বাবা-মায়ের কাছে দেশের ইতিহাস জেনেছে সে। প্রথমবার স্মৃতিসৌধে এসেছে।

“বাবা বলে দেশ মানে মা। দেশকে ভালবাসতে হবে। কোনো খারাপ কাজ করা যাবে না। আমি আজ এসে শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছি। আমি মনে করি আমাদের মতো সবার এখানে আসা উচিত, শ্রদ্ধা জানানো উচিত। আমাদের দেশ অনেক সুন্দর, আমি চাই আমার দেশ বিশ্বের সেরা দেশ হোক।”

সত্যিকারের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে নতুন প্রজন্মেকে দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য জানতে হবে বলে মনে করেন নবনীতার বাবা ডা. সঞ্জয় কুমার দাস।

তিনি বলেন, “আমাদের বিজয় দিবস, মুক্তিযুদ্ধ কতটা তাৎপর্যপূর্ণ তা আমার সন্তানকে বোঝাতে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে আমি স্মৃতিসৌধে এসেছি। ভালো লাগছে আমার মত অনেকেই তাদের সন্তানদের নিয়ে এসেছেন।”

বাবার সঙ্গে স্মৃতিসৌধে এসেছিল রাজধানীর শেরে বাংলা নগর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী জুনায়েদ আহমেদ আকতার। ছোটবেলা থেকেই এ দিনে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে আসে সে।

তার প্রত্যাশা, সবদিক থেকে বাংলাদেশ প্রথম হোক, আধুনিক হোক। দেশে কোনো দুর্নীতি বা খারাপ বিষয় না থাকুক।

<div class="paragraphs"><p>মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৫১ বছর পূর্তিতে শুক্রবার সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাত্তরের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: মাহমুদ জামান অভি</p></div>

মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৫১ বছর পূর্তিতে শুক্রবার সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাত্তরের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: মাহমুদ জামান অভি

|

 

গবেষক বাবার হাত ধরে সাভারের স্মৃতিসৌধে আসা সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আলম ফারাবীর উচ্ছ্বাস যেন একটু বেশিই। মহমারীর পর এবারই প্রথম স্মৃতিসৌধে এলো সে।

মাথায় লাল-সবুজ পতাকা বাঁধা ফারাবী বললো, “এখানে এসে ভালো লাগছে। যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুল দিলাম, স্মৃতিসৌধ দেখলাম। আমার দেশে সবকিছু ভালো হবে, আমি এটাই চাই।”

দেশের মুক্তির ইতিহাস ছেলেকে জানাতেই তাকে স্মৃতিসৌধে নিয়ে এসেছেন বলে জানান ফারাবীর বাবা।

তিনি বললেন, “যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীন হয়েছি, কিন্তু যুদ্ধ আমরা দেখেনি। ইতিহাস পড়ে জেনেছি। আমি চাই আমার ছেলে, নতুন প্রজন্ম এরা ইতিহাস জানুক। এই দেশ গড়ার পেছনে কত ত্যাগ আছে তা বুঝতে পারুক। তাদের মধ্যে দেশপ্রেম জেগে উঠুক।”

একই প্রত্যাশা চার বছরের ছেলে সৌহার্ত মণ্ডলকে নিয়ে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী স্বপন কুমার মণ্ডলের।

যে অসাম্প্রদায়িকতার চেতনা থেকে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সেটি বাস্তবায়িত হলেই দেশ ‘প্রকৃতভাবে’ স্বাধীন হবে বলে তিনি মনে করেন।

পাকিস্তানি শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটাতে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার জন্য যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, তা সফল পরিণতি আসে ১৬ ডিসেম্বর।

ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ময়দানে মুক্তিবাহিনী ও ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের যৌথ নেতৃত্বের কাছে আত্মসমর্পণ করেন পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেওয়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমীর আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী।

দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাওয়া এই বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণটি স্মরণ করে স্মৃতিসৌধে আসেন রাজনীতিক, কূটনীতিক, সমাজকর্মী, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী শিল্পী-বুদ্ধিজীবী, মুক্তিযোদ্ধা, পেশাজীবী, শ্রমিক, শিক্ষার্থী, সর্বোপরি সাধারণ মানুষ; শ্রদ্ধার পুস্পাঞ্জলিতে ঢেকে যায় বেদী।

মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ৪৯তম বার্ষিকীতে বুধবার সকালে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষের ভিড়। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি
মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ৪৯তম বার্ষিকীতে বুধবার সকালে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষের ভিড়। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

শ্রদ্ধা জানাতে এসে জাতীয় মহিলা পরিষদের সভাপতি ফৌজিয়া মুসলিম বলেন, “আমরা আসলে দেশটা স্বধীন করেছিলাম বৈষম্যহীন ও সবার জন্য মর্যাদাপূর্ণ স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার জন্য। অনেক জায়গাতেই আমরা এগিয়েছি।”

তবে একটি গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন দেশ গড়তে আরও অনেক দূর যেতে হবে বলে মত দেন তিনি।

দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রত্যাশা জানালেন রাজধানীর মিরপুরের তরুণ হুমায়ূন কবির। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজা তাবাসসুম বললেন নারীদের ‘সত্যিকারের মুক্তির’ প্রত্যাশার কথা।

তিনি বলেন, “আজও তো বাংলাদেশে ধর্ষণ কমেনি, এখনও পথে বের হলে নোংরা মন্তব্য শুনতে হয়৷ আমরা তো এমন বাংলাদেশ চাইনি৷ আমরা চাই এ দেশে প্রতিটি নারী তার অধিকার নিয়ে বাঁচুক।”

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৪০ ফুট দীর্ঘ ও ২৪ ফুট প্রশস্ত লাল সবুজের জাতীয় পতাকা নিয়ে এসেছিল সামাজিক সংগঠন ম্যান ফর ম্যান ফোর্স। সংগঠনটির সভাপতি মো. রাজিবুল ইসলাম বলেন, “বিশালাকার জাতীয় পতাকা দেখে তরুণ প্রজন্ম উদ্বেলিত হোক৷ তারা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সঠিকভাবে জানুক৷ তারা জানুক কীভাবে লাল সবুজের পতাকাটি আমরা পেয়েছি৷”

<div class="paragraphs"><p>মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৫১তম বার্ষিকীতে শ্রদ্ধার ফুলে ঢাকা জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদী। ছবি: মাহমুদ জামান অভি</p></div>

মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৫১তম বার্ষিকীতে শ্রদ্ধার ফুলে ঢাকা জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদী। ছবি: মাহমুদ জামান অভি

ন্দ্রপুর থেকে পরিবার নিয়ে আসা বাউল শিল্পী ও গীতিকার রবিন সরকার বললেন, “দেশ স্বাধীন না হলে আমরা আমাদের দেশের ইতিহাস সংস্কৃতি চর্চা করতে পারতাম না। আমি চাই আমাদের নতুন প্রজন্ম আমাদের ইতিহাস-সংস্কৃতি জানুক, মুক্তবুদ্ধির চর্চা করুক।”

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. মনজুরুল হক এদিকে তরুণদের উদ্দেশে বলেন, “সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সবচেয়ে বড় কাজটি তরুণদের৷ দেশে যখন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, তখন তরুণরাই সঠিক ইতিহাসের সন্ধান করছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চেতনা তারাই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বয়ে নিয়ে যাবে।”

আশার বাণী শোনা গেল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি সন্ধ্যা রায়ের কণ্ঠে। তিনি বললেন, “বাংলাদেশ একটি স্বনির্ভর, শস্য-শ্যামল বাংলাদেশ হবে এটিই আমাদের প্রত্যাশা। জ্ঞানে-বিজ্ঞানে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে আমাদের নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। এই অগ্রযাররা অব্যাহত থাকুক।”