খেলা

তামিমকে চারে চান সিডন্স, যা বললেন ওয়ানডে অধিনায়ক

তামিমকে চারে চান সিডন্স, যা বললেন ওয়ানডে অধিনায়ক

২০০৯ সালে জেমি সিডন্সের কোচিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয় করেছিল বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়ের এক যুগেরও বেশি সময় পর এবার সিডন্স বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ হিসাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাচ্ছেন।

আর এবার সিডন্স চাচ্ছেন, তামিমকে মিডল অর্ডারে তথা চার নম্বরে ব্যাটিং করাতে।

সিডন্স বলেন, ‘তামিম চার কিংবা পাঁচে ব্যাট করলে ভালো হয়। তার আগে আরেকজন ওপেনার খুঁজে বের করতে হবে। তামিম চারে নামলে দারুণ হবে। লিটন ছয়ে ঠিক আছে। মুশফিককে ছাড়া অবশ্যই কাজটা আরও কঠিন হবে। তার জায়গায় ইয়াসির আলী খেলবে। নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ অফ্রিকায় সে ভালো করেছে। সে সুযোগ কিভাবে কাজে লাগায় সেটাই দেখার।’

সিডন্সের এমন বক্তব্য অনেকের কাছে অদ্ভুত বা হাস্যকর মনে হলেও মূলতঃ ওপেনিংয়ে অন্য কাউকে ফিট করতেই ব্যাটিং কোচ এমনটা চাইছেন। 

জেমি সিডন্সের কাছ থেকে এমন কথা শোনার পর যারপরনাই অবাক তামিম।

বাংলাদেশের একটি জাতীয় পত্রিকাকে সাক্ষাৎকারে তামিম ইকবাল জানিয়েছেন, মিডল অর্ডারে ব্যাট করার কোনো ইচ্ছাই তার মধ্যে নেই।  দূরতম ভবিষ্যতেও এমন কোনো ভাবনা তার মধ্যে কাজ করছে না। 

তামিম বলেছেন,  ‘মিডল অর্ডারে ব্যাট করা নিয়ে কখনো ভাবিনি, এখনো ভাবছি না। আমার সেরকম কোনো ইচ্ছাও নেই। জীবনে একবারই মিডল অর্ডারে খেলেছিলাম। সেবার পাঁচ নম্বরে নামতে হয়েছিল চোটের কারণে। ৩৯ রান করেছিলাম সম্ভবত।’

বিষয়টি নিয়ে কোচ সিডন্সের সঙ্গে আলাপ হয়েছি কি না প্রশ্নে এ ড্যাশিং ওপেনার বলেন,  ‘এটা নিয়ে কারো সঙ্গে-ই আলোচনা হয়নি। ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন নিয়ে যদি কিছু বলেও থাকেন, সেটি ড্রেসিংরুমের আড্ডায় হয়তো বলে থাকতে পারেন। ড্রেসিংরুমে আমরা অনেক রকম মজা করি। লম্বা সময় ফিল্ডিংয়ের পর ওপেনারদের নামতে হয়। তখন হয়তো মজা করে কাউকে বলে থাকতে পারি যে, ইস! যদি পরে ব্যাট করতাম, তাহলে রেস্ট পাওয়া যেত। এটা স্রেফ মজা করে বলা, সিরিয়াস কিছু না।’