অন্যান্য

‘অভিযোগ সত্য হলে যুক্তরাষ্ট্রকেও কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে’

‘অভিযোগ সত্য হলে যুক্তরাষ্ট্রকেও কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীর বিষয় খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী কংগ্রেসম্যান এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক হাউস কমিটির চেয়ারম্যান গ্রেগরি ডব্লিউ মিকস।

স্থানীয় সময় সোমবার (৩১ জানুয়ারি) নিউইয়র্কের কুইন্সের একটি রেস্তোরাঁয় একটি তহবিল সংগ্রহের মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।

অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, মোর্শেদ আলম, ড. প্রদীপ রঞ্জন কর, প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, শাহ মো. বখতিয়ার আলী, ইন্জিনিয়ার ফরাসত আলী, কাজী মনির হোসেন, মিসেস হোসনে আরা, রুমানা আক্তার, জালাল উদ্দিন জলিল, শহিদুল ইসলাম, ইন্জিনিয়ার হাসান, সাখাওয়াত আলী, এমএ সালাম, ডা. মাসুদুল হাসান, এমদাদ চৌধুরী, ফাহিম রেজা নূর, মমতাজ শাহনাজ, আহনাফ আলম ও দীলিপ নাথ প্রমুখ। কংগ্রেসম্যান মিকসের কাছে দুটি স্মারকলিপি প্রদান করেন উপস্থিত বাংলাদেশিরা।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে গত ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে র‌্যাবের সাত বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট পৃথকভাবে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়। সারা বিশ্বের ১১টি দেশের বিরুদ্ধে বাইডেন প্রশাসন গণতন্ত্র ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে অভিযোগ পেয়েছে- তার ওপর ভিত্তি করেই এটি (বাংলাদেশের র‌্যাবের বিরুদ্ধে) করা হয়েছে বলে জানান মিকস।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বসবাসের সুযোগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা- এমন প্রশ্ন করা হয় মার্কিন কংগ্রেসম্যানকে। জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি সত্য হলে তা অবশ্যই দুঃখজনক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রকেও কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। বিষয়টি আমি অবশ্যই খুঁজে দেখব। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলব।’

এ সময় প্রবাসী বাংলাদেশিরা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সাজাপ্রাপ্ত খুনি রাশেদ চৌধুরী ও বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী যুদ্ধাপরাধী আশরাফুজ্জামান খানকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান কংগ্রেসম্যান মিকসের কাছে। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।